মেঘ ও মানুষের গল্প

মে হেদী ধ্রুব গল্প বলেন। পাক খেয়ে খেয়ে কখনো তা বাস্তবতার মোড়কে আবৃত হয়। তিনি বলে যান ইন্দিরা, জলকুয়া, জেহাদি মুন্সি, পাতাইল্লা, ফালাইন্না আর মতি মাস্টারের মতিগতির গল্প– কিন্তু আমাদের চোখে তা ধরা পড়ে ভিন্নরূপে, নতুন অবয়বে। তার গল্পে দেশভাগ, বাংলাদেশের জন্ম, বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ড, মানবেতর জীবন কাটানো মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দল, গৃহপালিত বুদ্ধিজীবীতা, নারীর সীমাহীন অসহায়ত্ব, সম্ভ্রম হারানো এবং বড় নেতা থেকে উঠতি নেতার ভোগের বস্তুতে পরিণত হওয়া– সবই উঠে আসে অদ্ভুত শিল্পকুশলতায়, অনেকটা রূপক, প্রতীকের ধাঁধা আর লোককথার ঢঙে। মেহেদী ধ্রুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ এবং সমকালীন রাজনীতিকে। তিনি সে সময়ের গল্পকার যখন সরাসরি কথা বলা অসম্ভব, বলতে হয় ঘুরিয়ে, প্রতীকের আশ্রয় নিয়ে। তার এক গল্পে কয়েকটা গল্প স্থান পেয়ে শেষে কেন্দ্রীয় গল্প হয়ে দাঁড়ায়। মেহেদী ধ্রুবর গল্পে ভাঙনের সুর প্রচ্ছন্ন অথচ স্পষ্টভাবে উপস্থিত, সচেতন পাঠকমাত্রই তা অনুধাবন করেন। তিনি পূর্বসূরিদের অস্বীকার করেন না, আবার অতি-আধুনিকতার নামে বিষয়বস্তুকে জটিল করার পায়তারাও তার গল্পে নেই। প্রতীক এবং সংকেতে ঠাসা একেক...